প্রতিষ্ঠান কী কর্মীর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে মনোযোগী?

Tarannum Musarrat Tusqa August 3, 2025 · 1 min read

সম্প্রতি একজন Client- এর সাথে কাজ করছি, যিনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি কাজ করছেন Corporate Finance- এ, স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে! যেখানে দীর্ঘ সময় অফিসে থাকা মানে “বিশ্বস্ততা”। যদিও অফিসের নির্ধারিত সময় ৫টা পর্যন্ত (লিখিত!), তবে সন্ধ্যা ৭টার আগে বের হলে সবাই আড়চোখে খেয়াল করে… উনার Boss একদিন বলেই বসলেন- “You have to be committed, you are not doing enough. We all are working till 9pm or 10pm. We all are bound to be here if organization needs us!”

ছুটির দিনগুলোতেও কাজ করতে হয় কেননা Deadline নামক একটা মূলা প্রতি সপ্তাহেই চোখের সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কাজ এবং জীবনের Balance রাখার জন্য তিনি বেশ কয়েকবার নিজের Boundary–র কথা জানিয়েছেন। Boss-এর সোজা উত্তর- “আমরা সবাই এভাবেই কাজ করি। If you think about the luxury of BALANCE, then I think you are in a wrong place!”

এর পর থেকে মাসের পর মাস তিন-চার ঘণ্টার বেশি ঘুমানোর সময় পান না তিনি। সবসময় একটা ক্লান্তিভাব, বিরক্তি, উৎকণ্ঠা। প্রথম দিকে অবশ্য তিনি তীব্র ব্যথা অনুভব করতেন, যা ঘাড় থেকে শুরু করে কাঁধ ও বাহু পর্যন্ত ছড়িয়ে যেত।   

ভদ্রলোক হঠাৎ অস্থির হয়ে বললেন, “আপনি জানেন আমাদের অফিস Mental Health Service দেয়ার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সাথেও চুক্তিবদ্ধ!এর প্রচার আছে বাইরে, ভিতরে কোন প্রয়োগ নেই!”

আমি অবাক হলাম না অবশ্য। ভদ্রলোকের হাতে থাকা Report-টা দেখতে চাইলাম।

Cervical spondylosis…

যারা দীর্ঘ সময় ডেস্কে বসে কাজ করেন এবং উচ্চ চাপের মধ্যে থাকেন এ রোগ তাদের জেঁকে ধরে। এক গবেষণায় পড়লাম, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩-৪% প্রাপ্তবয়স্ক এই সমস্যার সম্মুখীন হন। বাংলাদেশেও এই হার ক্রমাগত বাড়ছে, বিশেষ করে তাদের মধ্যে যারা দীর্ঘ সময় Desk-এ বা Screen-এর সামনে কাটান, যেখানে শারীরিক বিরতি বা বিশ্রামের সুযোগ নেই। গবেষণাগুলো এটাও বলে যে ‘মানসিক চাপ’ এবং ‘দীর্ঘ কাজের সময়’ এই রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।

ডাক্তার হয়তো তার শারীরিক অসুবিধার, Psychologist হয়তো তার মানসিক অসুবিধার Treatment দিবেন কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো মাত্র ৩৬ বছরে পৌঁছেই তার এই Complications- এর মধ্যে কেন পড়তে হলো? বাকিটা জীবন তার যে কষ্ট করতে হবে এর দায় কী প্রতিষ্ঠান নিবে? প্রতিষ্ঠান কী তার সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে দিতে পারবে? চাকরি প্রার্থীকে চাকরি প্রদান করে ‘কিনে’ নেয়ার যে মানসিকতা এবং ক্রমাগত ‘মানসিক হুমকি’ প্রদান আদৌ কী কোন Audit Findings –এ উঠে আসবে?

লিখতে বসে ভাবছিলাম, কিছুদিন আগেই Mental Health Day পালিত হলো। এ বছরের Theme ছিল -Prioritize Mental Health in the Workplace! ভদ্রলোক যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তাদেরও বেশ সোচ্চার ভূমিকা দেখেছিলাম Social Media–তে!

Organizational Policy আর Implementation–এর এ কেমন পার্থক্য? Social Media আর বাস্তব জীবনে এ কেমন Hypocrisy?! 


©
Tarannum Musarrat Tusqa
Consultant Psychologist | Safeguarding Advocate | Mental Health & Wellbeing Specialist | Clinical Psychology, DU | International Affiliate, (APA), USA | Islamic Psychology & Counselling, Al Balagh Academy, UK

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *