Workplace Wellbeing- এই শব্দটা শুনলেই মনে হয়, প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য Wrapping Paper- এ মোড়ানো কোন উপহার নিয়ে এলো!
অনেকে ভেবে থাকি ভালো একটা কালচার (Culture) মানেই প্রতিষ্ঠান দিবে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা, নীতিমালা, বা চমকপ্রদ ‘Wellness Package’
হ্যাঁ, এখন অনেক প্রতিষ্ঠান এই জায়গাটাতে মনোযোগী হচ্ছে- এটা নিঃসন্দেহে ইতিবাচক।
কিন্তু ব্যক্তি বা কর্মী হিসেবে ঠিক এই জায়গাতেই আমরা নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাই। Workplace Wellbeing Culture যদিও বা আমরা চাই কিন্তু তা Install বা Implement কে করবে সেই চিন্তা থেকে অনেকটাই দায়মুক্ত থাকার চেষ্টা করি …আর দিনশেষে দোষারোপ করি প্রতিষ্ঠানকে!
বিভিন্ন NGO/ INGO/ ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে Organisation অবশ্যই উদ্যোগ নিবে, নীতিমালা গঠন করবে কিন্তু এটা Establish করতে হবে প্রতিষ্ঠানের কর্মীকেই! আর সেটা সম্ভব আচরণের পরিবর্তনের মাধ্যমে, Micro skill- এর দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে। কর্মী যদি নিষ্ক্রিয় থাকে, তবে Wellbeing Concept শুধু Policy নামক কাগজেই থেকে যাবে।
এই Micro skill- গুলো কী?
এগুলো আসলে প্রতিদিনের কিছু চর্চা।
চলুন শুরু করা যাক ‘Workplace Wellbeing Micro skill #1’ দিয়ে
Workplace Wellbeing Micro skill #1 : Workplace Bullying
মূলত এটা এক ধরণের হয়রানি যেখানে কোন ব্যক্তিকে বারবার অপমান করা হয়, তিরস্কার করা হয়। আপনি জানেন যে আপনার সাথে বা আপনার সহকর্মীর সাথে অন্যায় কিছু হচ্ছে কিন্তু এই অবস্থায় চুপ থাকাটাকেই হয়ত বেছে নিচ্ছেন কেননা ‘চাকরি বাঁচানো’ জরুরি!
আবার অনেক সময় রাগে, ক্ষোভে, হতাশায় চাকরিটাই ছেড়ে দিয়ে চলে আসলেন! মূলত আপনি এই পর্যায়ে Black & White চর্চা করছেন- হয় চুপ থাকছেন, নয়তো ছেড়ে দিচ্ছেন! কোনটাই কিন্ত Healthy Practice নয়…
ঠিক এখানেই দরকার হয় Micro skill!
সুতরাং…
চর্চা করুন (Practice):
- নিজের প্রতি সম্মানবোধ বজায় রাখুন। সীমারেখা টানুন, যেখানে ‘না’বলা দরকার, সেখানে ‘না’ বলুন।
যে আপনাকে Bully করছে তাকে আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে বলুন যে তার এই আচরণটা যে কোন কর্ম পরিবেশের পরিপন্থী এবং তার এই আচরণ আপনি একদমই পছন্দ করছেন না!
প্রয়োজনে HR কিংবা Senior Management- কে অবগত করুন এবং এই বিষাক্ত আচরণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করুন। - বিশ্বাসযোগ্য কাউকে বিষয়টা Share করুন । ঘটনার রেকর্ড (Record) রাখুন- তারিখ, সময়, কী বলা বা করা হয়েছে তা লিখে রাখলে পরবর্তীতে তা আপনার Vision-কে মজবুত রাখবে।
- Bullying- এর শিকার হলে Negative Emotion এর মধ্য দিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। যেমন – কষ্ট, ভয়, রাগ, হতাশা ইত্যাদি। এই অনুভূতি অস্বীকার না করে তা মেনে নিন and it’s totally okay!
- প্রয়োজনে Professional Psychologist- এর Consultation নিতে দ্বিধা করবেন না।
এড়িয়ে চলুন (Avoid):
- “সমস্যাটা আমারই”- এই চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত করুন।
- নীরব থাকা পরিহার করুন। (Bullying) বুলিং চুপ করে সহ্য করলে তা আরও বাড়ে।
- ব্যক্তির বিষাক্ত আচরণ পরিহার করুন, ব্যক্তিকে নয়।
কষ্ট ভিতরে চেপে রেখে Social Media–তে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিতে যাবেন না। এতে করে প্রতিষ্ঠান এবং আপনার Image হুমকির সম্মুখীন হতে পারে। - প্রতিশোধের মানসিকতা তৈরি করবেন না—এটা আরেক ধরণের বিষ যাকে বলে Passive Aggression.
- “সব অফিসেই এমন হয়”—এই বাক্য দিয়ে বিষাক্ত পরিবেশকে স্বাভাবিক করে তুলবেন না।
মনে রাখবেন, Wellbeing Culture একটা চর্চা। আজকে আপনি যতটুকু Effort দিবেন, কাজের পরিবেশ আগামীকাল আরোও একটু সুন্দর হবে!
So, instead of waiting for the change, be the change!
©
Tarannum Musarrat Tusqa
Consultant Psychologist | Safeguarding Advocate | Mental Health & Wellbeing Specialist | Clinical Psychology, DU | International Affiliate, (APA), USA | Islamic Psychology & Counselling, Al Balagh Academy, UK